নিউজনাউ ডেস্ক: বুধবার প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। প্রত্যেক কলেজের নোটিশ বোর্ডে টাঙানো সেই ফল। স্বাভাবিকভাবে, দলে দলে কলেজে ভিড় করে আজ খুশি উদযাপন করার কথা শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এখন সেই নোটিশবোর্ডের সামনে ভালো ফলাফল দেখতে পাওয়ার উচ্ছ্বাসের দেখা নেই। কলেজ প্রাঙ্গণে ভিড় নেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।
তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে পরীক্ষার্থীরা এখন ফলাফল পেতে কলেজের মুখাপেক্ষী হয়ে নেই। মুঠোফোনের ক্ষুদেবার্তা এবং ইন্টারনেটের সংযোগে ফলাফল প্রকাশের দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জেনে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। আশানুরূপ ফলাফল পেয়ে কৃতজ্ঞতাবোধের জায়গা থেকে নিজ শিক্ষাজ্ঞনে আসার পরিবর্তে তারা চলে যাচ্ছে প্রচলিত ‘ট্রিট’ উদযাপনের লক্ষ্যে রেস্টুরেন্টে।
বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল একসময় ছিলো উৎসবের মতোই। মিষ্টিমুখ ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে যা উদযাপন করতো শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শিক্ষকদের ধন্যবাদ ও কদম্বুচি করতে শিক্ষাঙ্গনে ছুটে আসতেন তারা।
কিন্তু, বর্তমানে ফলাফলকে ঘিরে উদযাপনের সেই ধরণ পাল্টেছে। উৎসবের আমেজ নেই, কৃতজ্ঞতাবোধের রেওয়াজ নেই। নোটিশবোর্ডের ফলাফল ঠিকই আছে, কিন্তু তা দেখার জন্য নেই শিক্ষার্থীদের জটলা।
সরেজমিনে চট্টগ্রামের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো হলেও, যাদের ঘিরে সংবাদ হওয়ার কথা তাদের উপস্থিতি নেই। দেখা মেলেনি সেই উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার।
চট্টগ্রামের বেশকিছু কলেজে গিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় গুটিকয়েক শিক্ষার্থী ছাড়া আর কারোই অনুভূতি জানতে পারেননি তাঁরা।
এদিকে, মিষ্টির বাজারও যেন কলেজ প্রাঙ্গনেরই প্রতিচ্ছবি। কাঙ্খিত ফলাফলকে ঘিরে মিষ্টান্ন বিতরণের সামাজিকতার রীতিও বিলুপ্তপ্রায়। সেই রীতি পাল্টেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধের জায়গাটুকো যেন আগের মতোই অটুট থাকে শিক্ষার্থীদের মনে—এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষকদের।
নিউজনাউ/এমএন/পিপিএন/২০২৩