চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুল হাসান নিউজনাউকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছেন পিবিআই। সেটি আমরা গ্রহণ করে আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিবো। আগামীকাল আদালত চার্জশিট দেখবে। আগামী ১০ অক্টোবর মামলাটির শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
এ মামলার তদারকি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। তিনি বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করা হয়েছে।
পিবিআই কখনো পেশাদারিত্বের বাইরে যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড কেন সংঘটিত হয়েছে তা অনেকবার বলেছি। বাকিটা আদালতে বিচারের সময় পাওয়া যাবে। সব রকমের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আড়াই বছর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছি কারা কারা জড়িত। বাবুল আক্তার কীভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তার তথ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ২০১৬ সালের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে আদালতের আদেশে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভার নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। এর পরদিন ১২ মে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে তার স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। বাবুল আক্তারকে বর্তমানে ফেনী জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুই দফা জামিনের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু জামিন পাননি।
নিউজনাউ/পিপিএন/২০২২