কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)শিক্ষার্থী এনামুল হকের স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর ) সকালে মেধাবী ওই শিক্ষার্থী এনামুলকে ইউএনও কার্যালয় ডেনে পাঠান ইউএনও। এসময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন এই ইউএনও বিধান কুমার।
শিক্ষার্থী এনামুল উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে। তিনি ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বয়েটের বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর বাবা একজন ইজিবাইক চালক। এনামুলের এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিন নম্বর সে। তিনি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে (বিজ্ঞান বিভাগ) জিপিএ -৫ পেয়ে এবং ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ -৫ অর্জন করেন।
মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী এনামুলের বাবা একজন ইজিবাইক চালক হওয়ায় অর্থাভাবে বুয়েটে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এনামুলের অসহায়ত্বের খবর প্রকাশিত হলে নজরকাড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডলের। তাঁকে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ বুধবার এনামুলকে নিজ কার্যালয়ের ডেকে পাঠান ইউএনও। পরে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও নগদ ১০ হাজার টাকা সহযোগীতা করেন তিনি।
বুয়েট ছাত্র এনামুল হক বলেন, ' বাবা ইজিবাইক চালক হওয়ায় খুব ছোট থেকে দারিদ্র্যতার সাথে যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছি। অনেক গুণীমানুষের সহযোগীয় আমার এপর্যন্ত আশা। সকলের দোয়ায় বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু বয়েট পড়া খুব ব্যয়বহুল হওয়ায় সাময়িক আর্থিক সংকটে পড়েছি। বুয়েটে সেটেল হতে পারলে টিউশনি করে চলতে পারব।'
তিনি আরো বলেন,ইউএনও স্যার আমার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে আমার স্বপ্ন পূরনে তিনি
পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতে আমিও মানুষের পাশে দাঁড়াবো।'
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ' উপজেলা প্রশাসন সব সময় মেধাবীদের পাশে ছিলো, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কৃতি ছাত্র এনামুলকে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা সহযোগীতা করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে ভবিষ্যতে সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। '
নিউজনাউ/এবি/২০২২