নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরা থানা হেফাজতে সুজন (৩৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে রায়পুরা থানা হাজতখানায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আসামি সুজন মিয়া গৃহবধূ লাভলী বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
গত ৮ নভেম্বের তাকে গ্রেফেতারের পর আদালত থেকে দুই দিনের রিমান্ডে আনেন রায়পুরা থানা পুলিশ। বুধবার সকালে হাজতখানার রডের সাথে গলায় জামা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ জানায়। তবে নিহতের পরিবারের দাবি রাতে পুলিশের নির্যাতনে সুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, নরসিংদীর রায়পুরায় গত শনিবার দিবাগত রাতে স্ত্রী লাভলী আক্তারকে ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়ে যান তার স্বামী সুজন মিয়া। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুজন মিয়া (৩৫)। গত সোমবার ফরিদপুর জেলার আটরশি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আল আমিন নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত সুজন মিয়া রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। দীর্ঘ ১৩ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সম্প্রতি প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় ও দেশে ফিরে সুজন মিয়া ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে স্ত্রী লাভলী আক্তার মোবাইল ফোনে অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলার কারণে তাকে সন্দেহ করতেন সুজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। গত শনিবার রাতে বাসায় ফিরে এলে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়া নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে সুজন তার স্ত্রী লাভলীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরবর্তীতে সুজনসহ তার পরিবারের লোকজন সবাই পালিয়ে যান।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর জানান, গৃহবধূ লাভলী বেগম হত্যার ঘটনায় তার মা মালেকা বেগম সোমবার দিবাগত রাত্রে সুজন ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ ৮ নভেম্বর সুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মুজ্ঞুর করেন। সকালে কর্তব্যরত সেন্ট্রি নাস্তা দিতে গেলে তাকে হাজত খানার রডের সাথে গায়ের শাট দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে তাকে হাপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিউজনাউ/এসএইচ/২০২২