চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হবে। একইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেুবন নেছা মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
মহানগর পিপি মো. আব্দুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চার্জ শুনানিতে আসামিদের হাজির করতে হাজিরা পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন আসামিদের হাজির করা হবে।’
মঙ্গলবার মামলার আসামিদের মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা জামিনের আবেদন করেন জানিয়ে পিপি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আসামি ভোলা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। সেই নথিপত্র উপস্থাপন করে জামিন চাইলে আদালত তাকে জামিনের আদেশ দিয়েছেন।’
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি মিতু হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আব্দুল হালিম।
তার আগে গত ৩০ নভেম্বর মিতু হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালুর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত।
পত্রিকায় এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জানানো হয়, তারা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
গত ১০ অক্টোবর স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। তার আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পিবিআই।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাবুল তখন হত্যামামলা করলেও পরে পিবিআইর তদন্তে খুনে তারই সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসে।
নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩