কর্ণফুলী প্রতিনিধি: বুধবার বিকেল সাড়ে চারটা। কর্ণফুলী উপজেলার পুরাতন ব্রিজঘাট এলাকার নূর মার্কেটের কর্ণফুলী হেলথকেয়ার এণ্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগীদের ভিড়। তারা সবাই এসেছেন ফিজিওথেরাপি নিতে। থেরাপি রুমের সামনে গ্লাসের দরজায় বড় বড় অক্ষরে লেখা থেরাপিস্ট আবরার উদ্দীন আরাফাতের নাম লেখা থাকলেও কোথাও তিনি নেই। থেরাপি দিচ্ছেন ল্যাব এর সহকারী নারগিস। রিসেপশনে গিয়ে ফিজিওথেরাপিস্ট আবরার বিন আরাফাত এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তার রোগী দেখার সময় সন্ধ্যা নয়টা থেকে রাত দশটা । তবে প্রশ্ন উঠে বিকেল চারটায় রোগী দেখছেন কে?
অন্যদিকে ডায়গনষ্টিক সেন্টার ল্যাবে সেম্পল কালেকশন রুমে গেলে দেখা যায় কালেকশন এর কাজে ব্যবহৃত মেয়াদ উর্ত্তীণ মেডিসিন এবং সরঞ্জাম ।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত এর অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখতে পান কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী।
অভিযান চালিয়ে কর্ণফুলী হেলথ কেয়ার এণ্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে সিলগালা করে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট পিযূষ কুমার চৌধুরী নিউজনাউকে বলেন, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ওই ডায়গনষ্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করি। তাদের কাছে চিকিৎসক এবং টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের কোনো সনদ বা কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। চিকিৎসক না থাকলেও ল্যাব সহকারী থেরাপি প্রদান করতে দেখতে পায় । এসব বিষয়ে সংশিষ্ট কতৃপক্ষের সন্তোষজনক বক্তব্য না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর মো. আসিফ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযানে সহযোগীতা করেন কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সহকারী সার্জন ডাক্তার সামিনা তাবাচ্ছুম, সহকারী সার্জন সাঈদা সাদিয়া তানজিলা এবং কর্ণফুলী থানা পুলিশের একটি টিম।
নিউজনাউ/জেআর/২০২৩