চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সেজে চাঁদা দাবির মামলায় অভিযুক্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারের সাবেক দেহরক্ষীসহ ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ফারজানা আক্তারের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- নগর পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের এক উপ-কমিশনারের দেহরক্ষী মো. মাসুদ, দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলাম ও নগর গোয়েন্দা পুলিশে (উত্তর) কর্মরত কনস্টেবল আবদুল নবী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রবিউল আলম জানান, ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে বাদীসহ মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতকে তারা বলেন- ঘটনা সত্য। তবে এই আসামিরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটা তারা নিশ্চিত নন। পরবর্তীতে আদালত বলেছেন- বাদীপক্ষ ঘটনাকে প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য দিতে পারে নাই। তাই আসামিদের সবাইকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল মন্নানকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর তাকে পটিয়ার ভেল্লাপাড়া এলাকার একটি ব্রিজের পাশের সড়ক থেকে ১০০ ফুট ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অভিযুক্তরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। প্রাণ বাঁচাতে ভুক্তভোগী ব্যক্তি তার নিকটাত্মীয়দের ফোন দেয়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ভুক্তভোগীকে ছাড়িয়ে নেন।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে ৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন। এজাহারে সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশে অপহরণ, টাকা দাবি ও হত্যার হুমকি দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
আলোচিত এ মামলাটির তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট। ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত শেষে ছয় কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল আব্বাস। এরপর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ (মঙ্গলবার) রায় ঘোষণা হয়।
নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩