নিউজনাউ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীন ,সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে অত্যন্ত সু পরিকল্পিতভাবে বাঙালী সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, রাজনীতিক, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক ও সংগীতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যারা বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাহসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন -তাদের নির্মমভাবে হত্যা করে। আবার কেউ কেউ ওই সময়ে চিরতরে নিখোঁজ হয়ে যান ।
বাংলাদেশের সেই সকল সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড "ঘুণপোকা" আসছে তাদের নতুন গান "১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ " নিয়ে।
গানটির সৃষ্টি ও অনুভূতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ড্রামার এন্টনী বলেন, গানটি লেখা হয় এক অনুভবের জায়গা থেকে, এক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে। গানটা বেশ আগে তৈরি করা। আমরা ব্যান্ডের সদস্যরা একদিন রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে যাই। সেখানে বেশ খানিকটা সময় আমরা নিজেরা আশেপাশে ঘুরে দেখি। সূর্যোদয়ের সময় বধ্যভূমির সৌধের চৌকোনা ফাঁকা জায়গাটা দিয়ে সূর্যের ওঠা দেখা আমাদের মধ্যে এক ভিন্ন তাড়নার জন্ম দেয়। আমরা গানটাকে নতুনভাবে শ্রোতাদর্শকের সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করি। আমরা ঠিক যেভাবে হেঁটে গিয়েছি, যেভাবে দেখেছি সেই অনুভবকেই তুলে ধরেছি ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ গানটির চিত্রায়নে।
এ প্রসঙ্গে ব্যান্ডের গিটারবাদক মাইকেল দাস বলেন, আমরা চেয়েছি নতুন প্রজন্ম আমাদের এই ভাবনা, শোক আর শক্তির যায়গাকে ধারণ করুক, ভেতরে নিয়ে বেড়ে উঠুক। তাই আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করেছি চিত্রায়ন ও সম্পাদনার কাজে।
গানটি লিখেছেন অনিরুদ্ধ রনি আর সুর সংযোজনায় ছিলেন মনোয়ার বাবু ও ঘুণপোকা। গানটির সংগীতায়োজন ও পরিকল্পনায় ছিলেন আজব রেকর্ডস এর শব্দ প্রকৌশলী ফরহাদ ও নিলয়। গানটির ভিডিওগ্রাফি ও ভিডিও সম্পাদনায় সহযোগিতা করেছেন মারনিয়া ওয়ারসান নীগান আবতাহী রায়াত আয়ান।
৯০ দশকের যে ব্যান্ডের জোয়ার, সেই স্রোতেই ২০০৫ সালে জন্ম নেয় "ঘুণপোকা" নামের ব্যান্ড।এর আগে বিভিন্ন ব্যান্ডে বাজানোর অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকজন সমমনা ৯০ দশক থেকে গান-বাজনা করা মানুষ তৈরি করে এই ব্যান্ড। শুরু থেকেই ঘুণপোকা'র বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক লিরিক এবং সুর শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণে সফল হয়।
ঘুণপোকা তাদের প্রথম অ্যালবাম নিয়ে আসে ২০১৫ সালে। আজব রেকর্ডস থেকে প্রকাশিত "সং" নামের অ্যালবামটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এরপর আরও বেশ কিছু মিক্স অ্যালবাম এবং সিঙ্গেলস বের করে এই ব্যান্ডটি।বেলা , আয় খুকু আয় (কাভার), সেলফি, শর্ট ফিল্ম "অসমাপ্ত চা" এর গান এক কাপ চা , "সাহস" সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক -দ্যাখা সাহস , চলো মাতি সুবর্ণ যাত্রায় গানগুলো উল্লেখযোগ্য।
নিউজনাউ/আরবি/২০২২