alo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

কাপ্তাই কেপিএম থেকে ৭শ মেট্রিক টন কাগজ নেবে ইসি

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম

কাপ্তাই কেপিএম থেকে ৭শ মেট্রিক টন কাগজ নেবে ইসি
alo

 

নন্দন দেবনাথ, রাঙ্গামাটি: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনীতি অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য প্রায় ৭শ মেট্টিক টন কাগজের প্রয়োজন হবে বলে একটি দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে। আর প্রয়োজনীয় সকল কাগজ রাষ্ট্রয়াত্ব শিল্প কলখানা কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নেওয়া হবে। 

জানা গেছে, নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য তিন রঙের কাগজ প্রয়োজন হয়। সাধারনত , নীল ও গোলাপী রঙের কাগজ দিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে থাকে। তবে নির্বাচন কমিশন যে রঙের কাগজের চাহিদা জানাবে সেই রঙের কাগজ কর্ণফুলী পেপার মিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। 

কেপিএম কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি কেপিএমে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন এ কে এম আনিসুজ্জামান। দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচন কমিশনের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাগজ তৈরি করার জন্য সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী—কেপিএম কারখানায় কাগজ উৎপাদন করা হচ্ছে। 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আনিসুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সময় কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করা হতে পারে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আরো আগেই চাহিদা পত্রও দিয়েছে। 

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজ যথা সময়ে সরবরাহ করার জন্য কেপিএমের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারি এবং কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু নির্বাচন কমিশন নয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানও কেপিএম থেকে কাগজ সংগ্রহ করে থাকে। 

বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর জাতীয় পাঠ্য পুস্তুক বোর্ডের মাধ্যমে স্কুল পর্যায়ে কোটি কোটি বই বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীর মাঝে সরবরাহ করে আসছে। সেসব বইয়ের বেশিরভাগ বই কেপিএমের কাগজে ছাপা হয় বলে সুত্রে জানা গেছে। 

কর্ণফুলী পেপার মিল ইতিমধ্যে ৭৫ বছর পার করেছে। দীর্ঘ ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে সচল থাকার পর বর্তমানে কেপিএমের যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় সময় কারখানায় যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দেয়। এত প্রতিকুলতার মাঝেও এখনো কেপিএম উন্নত মানের কাগজ উৎপাদন করে আসছে। কেপিএম উৎপাদিত কাগজ সরকারি বেসরকারি প্রতিটি সংস্থার কাছে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে কেপিএম প্রয়োজনীয় কাগজ উৎপাদন করতে পারছেনা।

নিউজনাউ/আরএইচআর/পিপিএন/২০২৩

X