নিউজনাউ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রেলকে নিয়ে অনেক খেলা হয়েছে; এখনও হচ্ছে। সুযোগ পেলেই রেলেও ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। তবুও সব বাধা পেরিয়ে আমরা রেলকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছি। বিএনপি-জামায়াত জোট লাভজনক খাত রেলকে ধ্বংস করেছে। তাদের সময়ে বহু রেলপথ ব্ন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে প্রতিবারই রেলের উন্নতি হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৬০.২০ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে রেল নিতে যমুনা সেতুতে রেল সংযোগ করে দেয়া হয়েছিল। এখন সেখানে আলাদা সেতু হচ্ছে। এতে সড়ক ও রেল উভয়ই ভালোভাবে চলতে পারবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এখন সেখানে রেলপথ সংযোগের কাজ চলছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই সেটি উদ্বোধন করা হবে। খুলনা-মোংলা রেললাইন খালেদা জিয়ার আমলে বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা সেটি চালু করছি। এখন প্রায় সব জায়গায় ডাবল রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অলাভজনক বলে রেল বন্ধের উদ্যোগ নেয় শাসকরা। তারা রেলের লোকবল ছাঁটাই করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গত ১৪ বছরে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেট্রোরেলের কথা একটা সময় মানুষ চিন্তাও করতে পারতো না, এখন মানুষ প্রতিদিনই উঠছে। মাত্র ১০ মিনিটে আগারগাঁও থেকে উত্তরা যেতে পারছে। এই মাসের মধ্যে আরও কিছু স্টেশন চালু করা হবে। তখন মানুষ এই সেবা পাবে।’
মেট্রোরেলের পর দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আকাশ না, আমরা পাতালেও যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
নিউজনাউ/আরবি/২০২৩