alo
ঢাকা, বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চান: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১১:৩৪ পিএম

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চান: তথ্যমন্ত্রী
alo

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চান। তার স্বপ্নের ঠিকানা হচ্ছে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-পোর্ট লিঙ্ক রোডে জেলা প্রশাসন আয়োজিত চট্টগ্রাম ফুল উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা জয় করতে সক্ষম হয়েছি। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা বহু দূরে এগিয়ে গেছি। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেই দেশ শুধু বস্তুগত দিক দিয়ে উন্নত হবে তা নয়, যেই দেশ হবে একটি মানবিক দেশ। একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, সীতাকুণ্ডের ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন।

এসময় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে আমরা এমন একটি দেশ গঠন করতে চাই, যেই দেশ পৃথিবীকে পথ দেখাবে, মানবিকতায় পথ দেখাবে ও রাষ্ট্রের সব দুর্গত-পীড়িত মানুষের দায়িত্ব নেবে। তেমন একটি রাষ্ট্র আমরা গঠন করতে চাই। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের পথ ধরেই তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবানিশি কাজ করে চলেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ প্রায় শেষ, প্রকৃতপক্ষে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে প্রথম সড়ক টানেল। এত দীর্ঘ টানেল উপমহাদেশের আর কোথাও নেই। সেটি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটির ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু হয়েছে। উড়ালসড়ক হয়েছে, আরও হচ্ছে। গত ১৪ বছরে এভাবে চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। আরও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পুস্পমেলার আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের পাড়ে এ রকম নয়নাভিরাম একটা জায়গায় বিস্তৃত জলাশয় আছে, চারপাশে গাছপালা। এখানে স্বাভাবিকভাবে অনেক পর্যটক আসেন, পর্যটকদের জন্য এটি একটা বাড়তি পাওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের জন্যও একটা বাড়তি পাওনা। আমি আশা করবো এই জায়গাটাতে প্রতি বছর তিনমাস ব্যাপী পুষ্পমেলা হবে। এই মেলা শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশের মানুষের আকর্ষণ হবে। প্রয়োজনে এখানকার জলাধারে ভাসমান ফুলের বেড করা যায়।

নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩
 

X