alo
ঢাকা, বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

শুরু হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা ব্যক্তিগত জমি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া

প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:২৩ পিএম

শুরু হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা ব্যক্তিগত জমি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া
alo

 


নিউজনাউ ডেস্ক: সারা দেশকে বেশ কয়েকটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে, যাতে কেউ যেন ৬০ বিঘার বেশি জমির মালিক হতে না পারে, জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৬০ বিঘার অতিরিক্ত জমির মালিকানা গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

৬০ বিঘার অতিরিক্ত জমির মালিক হতে হলে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। অনুমতি নেয়ার সময় কী কারণে জমি দরকার, তা যুক্তিসহ উল্লেখ করতে হবে। কারণ যুক্তিযুক্ত হলেই মিলবে অনুমতি।

গত ১৯ মে ভূমি সংস্কার আইন, ২০২২-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইনটির খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির মালিকানায় ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করবে সরকার।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ পরিমার্জন করে নতুন আইন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এমনটা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘৬০ বিঘার বেশি জমি ব্যক্তিমালিকানায় থাকতে পারবে না। এটা আগেও ছিল, কিন্তু এখন আমরা এটাকে এনফোর্স করছি।

‘আমাদের দেশে জমির পরিমাণ কমছে। প্রধানমন্ত্রীর একটি দিকনির্দেশনা আছে যে আমাদের ফসলি জমি লাগবে। তিন ফসলি জমি আমাদের যেকোনো পরিস্থিতিতে রক্ষা করতে হবে। না হলে তো আমার ফুড সেফটি নিয়ে সমস্যা হবে।’

আইনটির বাস্তবায়নে পুরো দেশকে বেশ কয়েকটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা জোনিং প্রকল্প করছি, এটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটা হয়ে গেলে সারা দেশে কেউ ইচ্ছা করলেই কিছু করতে পারবে না। তিন ফসলি জমিকে রেখে এক ফসলি জমিতে হয়তো আমরা অ্যালাউ করব (অনুমোদন দেব), কিন্তু ৬০ বিঘার ওপর জমি গেলেই মন্ত্রণালয়ের পারমিশন লাগবে।

‘ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে, তাদের যদি যুক্তি থাকে যে এক্সপানশন (বেশি জমি) প্রয়োজন হবে… এমনিতেই জমির ব্যবসা করার জন্য এটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের প্রোডাক্টিভ (উৎপাদনশীল) খাতে ইউজ করতে হবে। আপনি আমাদের কাছে পারমিশন চান, যুক্তি দেন যে আপনার এক্সিজটিং ইন্ডাস্ট্রি বা ইন্ডাস্ট্রি করতে গেলে বেশি লাগবে বা লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপ করতে হবে… আমরা কিন্তু দেখে কেস টু কেস পারমিশন দিচ্ছি। পারমিশন নিয়ে যেন কেউ হয়রানি না হয়, সেটাও আমাদের মাথায় আছে।’

ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এ অনুমতি লাগবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘৬০ বিঘার ওপর জমির মালিকানা নিতে গেলে পারমিশন লাগবে। যেকোনো যুক্তিতে তা লাগবে। আমরা একটি সময়ও নির্ধারণ করে দেব যে, ৫ বছর বা ১০ বছর। এমনি জমি নিয়ে কিন্তু আপনি ফেলে রাখতে পারবেন না।

‘আপনাকে প্রথমে তিন বছরের অনুমতি দেব, এর মধ্যে যদি করতে না পারেন আবার জানাবেন। তখন দুই বছর এক্সটেন্ড করব, কিন্তু এর বেশি হলে ধরে নিতে হবে আপনার ইনটেনশন ভালো না বা আপনি তাহলে আর কিছু করতেও পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘৬০ বিঘা পর্যন্ত থাকলে কোনো সমস্যা নেই। কেউ যদি ৪০ বিঘা টেকনাফে আবার ৪০ বিঘা অন্য কোনো স্থানে কিনতে চান তাহলে আমরা সেটা ট্র্যাকডাউন করব।

‘আইনে বলা আছে, ৬০ বিঘার বেশি জায়গা নিতে পারমিশন লাগবে। সারা দেশের ক্ষেত্রেই এটা। আমরা যখন পারমিশন দেব, তখন সেটা দেব জোনভিত্তিক।’


নিউজনাউ/এবি/২০২২

X