নিউজনাউ ডেস্ক: বাঙালি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উৎসব আজ। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালীপূজার আয়োজন করা হয়। দীপাবলি আসার অনেক আগেই চারদিক উত্তেজনায় ভরে গেছে। করোনার প্রকোপ কম থাকায় এবার দীপাবলি উৎসব উৎসাহের সঙ্গে পালিত হবে।
সন্ধ্যায় হিন্দুদের প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বেলে আয়োজন করা হবে দীপাবলী উৎসবের। বাংলায় ‘দীপাবলি’ হিন্দুতে ‘দিওয়ালি-যার অর্থ প্রদীপের সারি। দীপাবলির আলোয় দূর হবে সকল অশুভ শক্তির, ঘটবে শুভ শক্তির আবির্ভাব। দীপাবলি হচ্ছে শ্যামা পূজার অন্যতম আকর্ষণ।
দীপাবলী সনাতনধর্মীদের উৎসব বিশেষ। এটি দেওয়ালি, দীপান্বিতা, দীপালিকা, সুখরাত্রি, সুখসপ্তিকা এবং যক্ষরাত্রি নামে অভিহিত। দীপাবলি শুধু সনাতনধর্মীদের নয়, শিখ এবং জৈন ধর্মাবলম্বীদেরও অনুষ্ঠান। বাংলাদেশে দীপাবলির দিনে কালী পূজা হয়-তাই দীপাবলি আর কালী পূজা একইসূত্রে গাঁথা।
পুরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই অপর এক শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা শক্তির পূজা ও শক্তির আরাধনা। জগতের অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্যা মা, তারা মা, চামুণ্ডা, ভদ্রকালী, মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
জানা যায়, নগরীর যেসব মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার অধিকাংশ মণ্ডপেই আয়োজন করা হয়েছে শ্যামাপূজার।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির , রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাঁখারী বাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোকেও সাজানো হয়েছে রঙিন আলোয়। পূজামণ্ডপগুলোর সামনে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ, লাগানো হয়েছে ব্যানার। পূজা শেষে ভক্তদের দেওয়া হবে অঞ্জলি। এছাড়াও বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে রয়েছে পাঠাবলীর আয়োজন।
নিউজনাউ/আরবি/২০২২