alo
ঢাকা, রবিবার, মার্চ ২৬, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:২২ এএম

চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
alo

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের টানা তিনবারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় চশমা জামে মসজিদের পাশে মরহুমের কবর জেয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টায় খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ও বেলা ১১টায় আলোচনা সভা কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে।

এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

কর্মসূচিসমূহ সফল করার লক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের সকল কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামের স্বার্থরক্ষায় আপসহীন ভূমিকার জন্য তিনি জীবদ্দশায় ‘চট্টল দরদী’, ‘চট্টল বীর’সহ নানা উপাধিতে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। তার বড় ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা উপমন্ত্রী ও স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ছাত্রজীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলনসহ চট্টগ্রামের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন সময় রাজপথে সোচ্চার ছিলেন। টানা ১৭ বছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে আয়বর্ধক নানা প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রশংসিত হন। তার ক্লিন সিটি প্রকল্পও সে সময় বেশ সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে উত্থান-পতন ও নানা ঘটনাপ্রবাহে ‘চট্টলবীর’-এ পরিণত হয়েছিলেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সাংসারিক জীবনে দুই ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক মহিউদ্দিন চৌধুরী শারীরিকভাবে নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করলেও জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তার মনোবল ও সাহস ছিল অটুট। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে প্রবীণ রাজনীতিক সকলের আস্থায় আজও দেদীপ্যমান মহিউদ্দিন চৌধুরী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টলার রাজনীতির উর্বরভূমি হিসেবে পরিচিত রাউজানের গহিরার বক্স আলী চৌধুরী বাড়িতে জন্ম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। বাবা হোসেন আহমদ চৌধুরী ছিলেন রেলওয়ে কর্মকর্তা। মা বেদুরা বেগম। ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে পা বাড়ান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। 

১৯৬২ সালে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে এইচএসসি এবং পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে তিনি নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

পঁচাত্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে ভারতে গিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এ নেতা। ফিরে এসে চট্টগ্রামকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে এসে হারিয়ে ফেলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু মৌলভী সৈয়দকে। 

পরবর্তী দীর্ঘ সামরিক শাসনের সময় মহিউদ্দিনকে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করতে হয়েছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলনসহ চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের স্বার্থরক্ষার আন্দোলন করেছেন তিনি।

২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিউজনাউ/পিপিএন/২০২২

X