নিউজনাউ ডেস্ক: সিলেটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে চট্টগ্রাম। পরে জবাব দিতে নেমে ৪ বল আগেই জয় পায় বরিশাল। এই জয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে টপকে ৮ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে সাকিব আল হাসানের দল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদিকে হারায় চট্টগ্রাম। ওয়াসিম জুনিয়রের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে টপ এজ হওয়ায় সরাসরি বোলারের হাতে চলে যায়। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি উন্মুখ চাঁদ। খালেদ আহমেদের বলে সালমান হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৬ রানে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৩৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ম্যাক্স ওয়াদুদকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের রান বাড়াতে থাকেন আফিফ। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪২ রান। খালেদের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ৩৩ রান করা ওয়াদুদ।
এরপর ব্যর্থ হন শুভাগত হোমও। রাব্বির বলে বাঁহাতি এই ব্যাটারের দারুণ ক্যাচ লুফে নেন ইফতিখার। আফিফ আউট হন ২৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে। ১০২ রানে ৫ উইকেট হারানো চট্টগ্রামের রান দেড়শ পার করেন ক্যাম্ফায়ার ও শুক্কুর। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের ক্যাম্ফার ছিলেন দুর্দান্ত। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন ক্যাম্ফার। তাকে সঙ্গ দেয়া ইরফান ১৯ বলে ২০ রান করেছেন। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
১৬৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বরিশালের দুই ওপেনার। দলীয় ৪৮ রান সাইফ হাসান ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। অবশ্য সাইফ হাসান করেন ৯ বলে মাত্র ১০ রান। বাকিটা আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়েন বিজয়। তবে সাকিব ৬ বলে ২ রান করে ফেরেন। এরপরের ওয়াইড বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে কোনো রান না করেই ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। চাতুরাঙ্গাি ডি সিলভাকে ৩ রানের বেশি করতে দেননি নিহাদ। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে স্টাম্পিং হয়েছেন তিনিও। এরপর ইফতিখারকে সঙ্গে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা আবারও সচল করেন বিজয়। তবে ৫০ বলে ৭৮ রান করে বিজয় ফেরেন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর তিন চার ও দুই ছক্কায় মাত্র ১২ বলে ৩১ রানের ক্যামিও খেলে বরিশালকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান করিম জানাত। এরপর সালমান হোসেন ১৪ অলে ১৮ রান করলে ৪ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটের জয় পেয়ে যায় বরিশা চট্টগ্রামের হয়ে মাত্র ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নিহাদ।
নিউজনাউ/পিপিএন/২০২৩